কফি টেবিল বুক 'পাটরানি' নিয়ে এক আলোচনা
কলকাতা: বিশিষ্ট সমাজকর্মী ও জুট রিভাইভালিস্ট ড. চৈতালী দাস ইন্দো-আমেরিকান চেম্বার অফ কমার্স, ইস্ট ইন্ডিয়া কাউন্সিল আয়োজিত এক সম্মেলনে ড. সুজয় বিশ্বাসের সঙ্গে নিজের কফি টেবিল বুক 'পাটরানি' নিয়ে এক আলোচনায় অংশ নেন। অধ্যাপক ড. সুজয় বিশ্বাস চেম্বারের প্রাক্তন সভাপতিও বটে।
ব্যক্তিগত যাত্রার কথা বলতে গিয়ে ক্যান্সারের সাথে তাঁর লড়াই কীভাবে 'পাটরাণী'র জন্ম দিল, বলেন চৈতালী। তিনি বলেন, "যখন আমার ক্যান্সার ধরা পড়ে, মনে হল এটাই আমার জীবনের জরুরি অ্যালার্ম বেল। আমি হঠাৎ এক পৃথিবী অনিশ্চয়তার মুখোমুখি হলাম। সেই বিশৃঙ্খল সময়ে, আমি আমার সব বিক্ষিপ্ত শক্তিগুলোকে একত্রিত করার সিদ্ধান্ত নিই। এমন একটা কিছু করতে চাইছিলাম যা হবে আমার উত্তরাধিকার। যা আমার অবর্তমানেও থাকবে।"
'পাটরাণী' কারাগারের বন্দীদের পুনর্বাসনে সহায়তার পাশাপাশি পাট শিল্পের পুনরুজ্জীবনে চৈতালীর দীর্ঘ সময়ের কাজের দ্যোতক। হাজার হাজার পুরোনো ছবি দেখতে দেখতে তাঁর মনে হয়, এইসব অভিজ্ঞতার কথা বন্দী হওয়া উচিত দুই মলাটে। তিনি আরও বলেন, "এই বই আসলে শ
সবচেয়ে অন্ধকার সময়ে দাঁড়িয়েও আলোকবর্তিকা। জীবনের উদ্দেশ্য খুঁজে পাওয়ার পথ।"
অধ্যাপক ড. বিশ্বাস চৈতালী দাসের অনুপ্রেরণামূলক যাত্রাপথকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, "একজন বাঙালি হিসেবে চৈতালীর এই কীর্তিতে আমি অত্যন্ত গর্বিত। এ এক রূপকথার গল্পের মতো, যা লক্ষ লক্ষ মানুষকে অনুপ্রাণিত করবে। এমন গল্পই তো সেলিব্রেশনের দাবি রাখে। চৈতালীর মতো মানুষই সত্যিকারের পরিবর্তন আনতে পারে। বাংলাকে আবার 'সোনার বাংলা' বানাতে সাহায্য করতে পারে।"
Comments
Post a Comment