গ্ল্যামারএক্স-এর আয়োজনে "সারা বাংলা এক ফ্যাশন শো": বৈচিত্র্যের রঙে রাঙা এক সন্ধ্যা
সম্প্রতি কলকাতার অভিজাত অল্ট এয়ার ব্যাঙ্কুয়েট হলে অনুষ্ঠিত হল এক ব্যতিক্রমী ফ্যাশন শো — "সারা বাংলা এক ফ্যাশন শো"। এই অনুষ্ঠানের মূল আয়োজক ছিল গ্ল্যামারএক্স, এবং সহযোগী সংগঠন হিসেবে অংশ নিয়েছিল সুপরিচিত পোশাক ব্র্যান্ড ইকো থ্রেড এবং শহরের অন্যতম প্রধান স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান জেনেসিস হসপিটাল।
উল্লেখযোগ্যভাবে, এই ফ্যাশন শো-তে নারী, পুরুষ ও তৃতীয় লিঙ্গ নির্বিশেষে সকলের অংশগ্রহণ ছিল অত্যন্ত উজ্জ্বল ও অনন্য। এটি যেন হয়ে উঠেছিল এক সামাজিক সমতা ও স্বাধীন আত্মপরিচয়ের উদযাপন। এই রঙিন সন্ধ্যায় উঠে আসে সমাজের নানা প্রান্ত থেকে আসা মানুষদের সৃজনশীলতা, স্টাইল এবং আত্মবিশ্বাস।
ফ্যাশন শো-তে একাধিক খ্যাতনামা পোশাক সংস্থা তাদের নতুন কালেকশন উপস্থাপন করে। তবে বিশেষ নজর কাড়ে ইকো থ্রেড-এর পরিবেশবান্ধব ও নান্দনিক ডিজাইনের পোশাকসমূহ, যা বিচারকদের পাশাপাশি দর্শকদেরও মন জয় করে নেয়। ইকো থ্রেড-এর এই অনন্য অবদানের জন্য তাদের শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয় এবং বিশেষভাবে সম্মানিত করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ এবং জেনেসিস হসপিটালের কর্ণধার ডঃ পূর্ণেন্দু রায়, ইকো থ্রেড সংস্থার সিইও অলিভিয়া ডানলপ, সহ আরও বহু বিশিষ্ট অতিথি ও ফ্যাশন ব্যক্তিত্ব। ডঃ রায় তাঁর বক্তব্যে বলেন,
"এই ধরনের ফ্যাশন শো কেবলমাত্র পোশাক প্রদর্শনের মঞ্চ নয়, এটি একটি বৃহত্তর সামাজিক উদ্যোগ। যেখানে সমাজের সব স্তরের, সব পরিচয়ের মানুষ নিজেদের ভাবনা, কল্পনা ও আত্মপরিচয়কে তুলে ধরতে পারে। হাজার হাজার তরুণ-তরুণী ও তৃতীয় লিঙ্গের প্রতিনিধিরা আজকে যেভাবে নিজেদের প্রকাশ করেছেন, তা সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। জেনেসিস হসপিটাল সবসময় এই ধরনের সমাজ সচেতন অনুষ্ঠানের পাশে থাকবে।"
এই ফ্যাশন শো-র মাধ্যমে যেমন তরুণ প্রজন্মের সৃজনশীলতা এবং নতুনত্বকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, তেমনই সমাজে একটি ইতিবাচক বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে— ফ্যাশন কেবল রূপ নয়, এটি এক শক্তিশালী ভাষা যা মানুষকে আত্মপ্রকাশের স্বাধীনতা দেয়।
"সারা বাংলা এক ফ্যাশন শো"-র এই সাফল্য নিঃসন্দেহে আগামী দিনে আরও অনেক সৃজনশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উদ্যোগকে অনুপ্রাণিত করবে।
Comments
Post a Comment